
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৬টি পরিবারের পাশে পৌরসভার পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে পৌর এলাকার আংশিক বালিগাঁও গ্রামে এসব খাদ্যসামগ্রী ও শীত বস্ত্র পৌছে দেন পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ।
জানা যায়, রান্নার চুলা বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হাবিবুর রহমানের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহোযোগিতায় প্রায় ১ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হননি। অগ্নিকান্ডে ৬ পরিবারের টিনের তৈরী বসত ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- কামাল মিয়া, রঙ্গি বিবি, হালিমা খাতুন, রুনা বেগম, মতিন মিয়া ও হাবিবুর রহমান।
শুধু ভাত নয়, পুড়ে গেছে স্বপ্নও, সহায় সম্বল হারিয়ে এখন নিঃস্ব ৬ পরিবারের মানুষ। আকস্মিক এই বিপদে এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন তা নিয়ে দিশেহারা তারা। ‘আগুনে আমাদের ৬ পরিবারের সব সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে,পরনের কাপড় ছাড়া অন্য কিছু নাই। সব পরিবার মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।
পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের ৬ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেল, বস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘর তেরী করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। তাদের কোনো অসুবিধা হবে না। তাদের সব সময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে রান্নার চুলা অথবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হাবিবুর রহমানের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের সহোযোগিতায় প্রায় ১ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় কোউ অগ্নিদগ্ধ বা আহত হননি। অগ্নিকান্ডে ৬ পরিবারের টিনের তৈরী বসত ঘর পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান বিভাগ থেকে সাথে সাথে ৫ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আরও সহযোগিতা করা হবে।