Logo

রাজনগর কৃষি ব্যাংকের ঋন কেলেংকারির তদন্ত চলছে: অভিযোগকারী কথা বলছে উল্টো সুরে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | ২৭৪৫জন দেখেছেন
রাজনগর বার্তা রিপোর্ট ::

Image
সালেহ আহমদ (স'লিপক): মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা কৃষি ব্যাংক শাখা থেকে উৎকোচ ছাড়া লোন পাচ্ছেন না প্রান্তিক কৃষকরা। এ ধরনের অভিযোগের ভিক্তিতে ইতিমধ্যে শাখা ব্যবস্থাপক এস এম আমিনুল ইসলাম, মাঠ তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ও ব্যাংকের গার্ড শাহীনকে সাসপেন্ট করা হয়েছে। মাঠে নেমেছে তদন্ত টিম।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম সাখাওত হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি টিম রবিবাব (৮ অক্টোবর) রাত থেকেই তদন্ত শুরু করেন।  তদন্ত কমিটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষি লোন গ্রহীতার বক্তব্য নিয়েছেন বলে জানাগেছে। সরেজমিনে গিয়ে রাজনগর কৃষি ব্যাংক শাখায় ঘুষ কেলেংকারী বিষয়ে অভিযোগকারী বাপ্পী নামের কোন ব্যক্তি লোন নিয়েছে বলে ব্যাংকে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

রক্তা গ্রামের আতিকুর রহমানের পিতা আবুল কালাম  বলেন, আমার ছেলে রাজনগর কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা কৃষি ঋন নিয়েছে। তবে ঋন নিতে গিয়ে কোন প্রকার ঘুষ আমাদের নিকট কেউ চায়নি।

তার ছেলে আতিকুর রহমান বলেন, আমি কৃষি ঋনের ব্যাপারে কোন ঘুষ লেনদেন করিনি। কেহ যদি আমার নামে ঘুষ দিয়েছি বলেন, সে উক্তি মিথ্যা।

রক্তা গ্রামের ঋন গ্রহীতা মিনত আলী বলেন, ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকা কৃষি ঋন নিয়েছি। তবে কোন ঘুষ দিতে হয়নি। আমাদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ কেন করেছে তা বুঝতে পারছিনা।

নোয়াগাঁওর আব্দুল আউয়াল, মুক্তেশর দাশ, পাঁচগাঁও গ্রামের ইমরুল, রক্তা গ্রামের সোহেল বলেন, দুই লাখ টাকা কৃষি ঋন নিয়েছি। কাউকে তো কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি।

রাজনগরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী রহমান ভেরাইটিজ স্টোর মালিক মোঃ সাদিকুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে রাজনগর কৃষি ব্যাংকের সাথে ঋন তুলে লেনদেন করছি। বর্তমানে ২০ লাখ টাকা সিসি ঋন আছে। কিন্তু আমার নিকট থেকে কেউ কোন টাকা পয়সা চায়নি।

পাঁচগাঁও ইউনিয়নের খালদা গ্রামের মিনার হোসেন ইপুর ৩ লাখ ঋনের প্রসেসিং চলছে। তিনি বলেন, আমার কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি। শুধু আমার অন্য ব্যাংকে ঋন সংক্রান্ত যাছাই করতে যে সরকারী ফ্রি দিতে হয়েছে।

পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার তারেক রহমান কর্নেল বলেন, ঋন তোলার বিষয় জনপ্রতিনিধি হিসাবে সুপারিশ লাগে। প্রকৃত ঋন গ্রহীতাকে সুপারিশ করে দেই। পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মতিন ভাতা দেওয়ার কথা বলে ব্যাংকে দুই লাখ টাকার লোন পাশের বিষয় বলেন, মতিন মিয়ার জায়গা জমি আছে। ব্যাংকে সে জমির কাগজ জমাও দিয়েছে। পরে সে ম্যানেজাকে জানিয়েছে সে ঋন নেবেনা। আমার নির্বাচনীয় প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ব্যাংক নিয়ে অপপ্রচার করছে।

এব্যাপারে কৃষি ব্যাংক প্রধান শাখার তদন্ত কমিটির প্রধান জিএম সাখাওত হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগটি তদন্ত করতেছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।

আরও খবর




এই সম্পর্কিত আরও খবর

হত্যা মামলাকে বিভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অভিযোগ করে রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

রাজনগর থানা পুলিশের অভিযানে ২৩১.৫ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ১

রাজনগরে মরহুম এম. সাইফুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

রাজনগরে খেলাফত মজলিসের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন

রাজনগরের বিভিন্ন সড়কে উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষ রোপন

রাজনগরে মেধা-সংস্কৃতি বিকাশ সমাজকল্যাণ পরিষদের ঢেউ টিন ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

রাজনগরে জালালাবাদ এসোসিয়েশন কুয়েতে'র উদ্যোগে দুই শতাধিক বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

রাজনগরে মেধা-সংস্কৃতি বিকাশ সমাজকল্যাণ পরিষদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ