দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী ও রংপুরসহ চার বিভাগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, চারটি বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। নতুন অনেকে এসেছেন, কিছু বাদও পড়েছেন।
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামীকাল না হলেও রোববার ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। আমারও যখন বিভাগের নাম ঘোষণা করি, তখন ভিড় বেড়ে যায়, নির্দিষ্ট বিভাগ শুনলে পীড়াপিড়ি শুরু হয়ে যায়। কীভাবে নাম বাহির করা যায়। সে কারণে বিভাগের নাম ঘোষণা করছি না।’
তিনি বলেন, ‘নতুনও এসেছে, বাদও পড়েছে। উইনেবল প্রার্থী আমরা বাদ দিইনি। নির্বাচনে জিতবে, যারা ইলেক্টেবল, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মনোনয়নের ব্যাপারটাকে সুনির্দিষ্ট করে এখন বলছি না, কারণ, এর মধ্যে আমরা যেসব প্রার্থী দিয়েছি, সেসব মনোনয়নে ভুলত্রুটিও থাকতে পারে। সেটাও আমাদের সংশোধনের একটা সুযোগ রেখেছি। এ কারণে, আমরা ঠিক করেছি ভিন্নভাবে, জেলা ভাবে বা বিভাগভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করব না। আমরা একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তারা ইলেক্টেবল না। উইনেবল না। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নাই, তাদের আমরা মনোনয়ন দিচ্ছি না। এর মধ্যে নতুনরাও আছে। নির্বাচনে জিততে পারে, সেটা পুরুষ হোক আর নারী হোক, আমরা তাদের মনোনয়ন দেব।’
অজনপ্রিয় প্রার্থীকে অন্য দল থেকে এনে নির্বাচনের প্রার্থী করার ইচ্ছা নেই বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শরিক দল হোক আর যেই হোক, আমাদের বিবেচনায় যেটা আসবে, আমি আমার দলে প্রার্থী নির্বাচনে জনপ্রিয় প্রার্থীকে বাছাই করছি। অন্য দল থেকে আসলেও তার জনপ্রিয়তা থাকতে হবে।’
শরিকদের মনোনয়নের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শরিক দলের বিষয়টা আমরা সবাই ধারণ করছি না। কারণ এখানে জোটের বিপরীতে জোট, এখানে অন্য কোনো জোট নাই, যা আমাদের অপজিশন। সেরকম বাস্তব পরিস্থিতি নেই। কাজেই, আমরা এখন দলীয়ভাবে আমাদের মনোনয়ন দিচ্ছি। শেষ পর্যন্ত যদি প্রয়োজন হয়—আমাদের তো সুযোগ আছে।’
কয়েকটি ইসলামি দলের নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসলামি দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁরা তাঁদের মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন। ইসলামি দলগুলো নির্বাচনে আসবেন।’
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কত নায়ক–নায়িকা এমপি। তারা তো সরাসরি দল করে না। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশেও আছে। আর সাকিব আল হাসান রাজনীতি করবে, জনগণের সেবা করবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় সে দাঁড়াতে পারে।’
উপনির্বাচনের দলীয় প্রার্থী হয়ে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাঁদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা আবার দাঁড়াচ্ছে। তারা এখানে মনোনয়ন চাইবে, আমরা তাদেরও এখানে মনোনয়ন দিতেও পারি। কারণ, তারা তো কাজ করার কোনো সুযোগ পায়নি। সেই সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি যদি আমরা মনে করি, এই প্রার্থী এলাকাকে, পার্টিকে কিছু দিতে পারে, তার চেয়ে অ্যাবিলিটি আছে, তার চেয়ে যোগ্যতা আছে, সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন।